রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ যেন দেশ ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে গতকাল বুধবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় অনিয়মের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার কথা জানিয়ে রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের উত্তরা ও মিরপুরের দুটি শাখারই কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জানানো হয় এর লাইসেন্স আর নবায়ন করা হবে না।
রিজেন্ট হাসপাতালে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর একে একে বের হয়ে আসে সাহেদের অপকর্মের চিত্র। তাকে খুঁজছে র্যাব। গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানিয়েছিলো, কর্নেল থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যা করেনি সাহেদ। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা হবে।
করোনা টেস্টের জাল সনদ সরবরাহ এবং টেস্ট ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুরে শাখাসহ প্রধান কার্যালয় সিলগালা করা হয়। বন্ধ রয়েছে চিকিৎসা কার্যক্রম। এছাড়া শাহেদের ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড লাগানো গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। মোহাম্মদ শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর, গত সোমবার উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেছিলো র্যাব। অভিযানে রিজেন্টের ৮ জন কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। যাদের মধ্যে হাসপাতালের ব্যবস্থাপকসহ সাতজনের ৫ দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের নির্দোষ দাবি করে রিমান্ডের বিরোধিতা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। গ্রেফতারকৃত আটজনের মধ্যে কামরুল ইসলামের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে কিশোর আদালতে আনা হয়।