রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
আবারও নিজেদের আশ্রয়ে ফিরতে শুরু করেছেন আগুনে সর্বস্ব হারানো কক্সবাজারের বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা। আবারও ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখছেন আগুনে সর্বস্ব হারানো রোহিঙ্গারা। ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আপাতত তাবুতে মাথা গোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকে।
তবে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে রোহিঙ্গাদের ভাষ্য ভিন্ন হলেও স্থানীয়রা বলছেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং কোনো এনজিও’র ইন্ধনে এমন ঘটনা ঘটেছে। আবার ক্যাম্পের অনেকেই বলছেন, প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই একটি অংশ পরিকল্পনা করে এসব করছে। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড তাও পরিকল্পনার অংশ বলে তাদের ধারণা।
এদিকে, এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, আগুনের কারণ জানতে কাজ শুরু হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে জমা দেয়া হবে প্রতিবেদন।
ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা বলছেন, যে সহায়তা দেয়া হচ্ছে তাদের তা পর্যাপ্ত নয়। রয়েছে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও খাবারের সংকট। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জরুরি সহায়তা দিচ্ছে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা।
ঘটনার কারণ তদন্তে কাজ শুরু করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি।
এদিকে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এখনও অনেক রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে।
গেল সোমবার (২২ মার্চ) বিকেলে উখিয়ার বালুখালী এইট ডব্লিউ নম্বর ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে আগুন লাগে। মুহূর্তেই তা দাবানলের মত আরো তিনটি ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর পরই ক্যাম্পগুলো থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়। তবে হুড়োহুড়িতে বহু মানুষ হতাহত হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট। পানি স্বল্পতার কারণে কিছুটা বেগ পেতে হয় তাদের। পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় চারটি ক্যাম্পের অন্তত ১০ হাজার ঘর।