করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার প্রায় নীরবেই শেষ হলো অমর একুশে বইমেলা। মেলার সময়সীমা, লকডাউন সব মিলিয়ে এবারে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন প্রকাশকরা।
স্বাধীনতার মাসে, করোনা আর লকডাউনে ভাষার মাসের আয়োজন। এবারের বই মেলা পার করেছে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা। তাই লেখকদের কণ্ঠে ছিল আক্ষেপের সুর।
লেখকরাও নিজের বইয়ের পাঠকের কাছে ভালোভাবে তুলে ধরতে পারেননি। তবে, এই মহামারির মাঝেও পাঠকদের অনেকেই মেলা ঘুরে কিনেছেন পছন্দের বই।
আজ সোমবার শেষ দিন পাঠকদের পদচারণায় মুখর ছিল বইমেলা প্রাঙ্গণ। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় পাঠক সংখ্যা ছিলো খুবই কম।
গেল বারের চেয়ে এবার নতুন বইয়ের সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে। মেলার শেষ দিনে স্টল ও প্যাভিলিয়নে বই সরিয়ে নেয়ায় ব্যস্ত ছিলেন প্রকাশক ও বিক্রেতারা।
শেষবেলায় সংবাদ সম্মেলন করেন প্রকাশকরা। মেলায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে সরকারের কাছে প্রণোদনা ও সহজশর্তে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।
এবারের মেলায় সবচে বেশি এসেছে কবিতার বই, তারপর ছিলো উপন্যাস ও গল্প। প্রাণের মেলার শেষ দিনে বই প্রকাশিত হয়েছে ৬৪টি। পুরো মাসজুড়ে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি।