কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী উত্তর অনন্তপুর গ্রামের ফেলানীর মোড়ের মোল্লাটারী এলাকায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে বৃহস্পতিবার বিকালে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া ঐ শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত নাজমুল ইসলামের পরিবার ঘটনা ধামাচাপা দিতে আপোসের নামে নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা নিতে বাধা দেয়। ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর শনিবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর খালা বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজীব কুমার রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত নাজমুল ইসলাম (২২) উপজেলার উত্তর অনন্তপুর মোল্লাটারী গ্রামের খবিজলের ছেলে। সে সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত বলে জানায় এলাকাবাসী।
নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাজমুল ইসলাম প্রায় সময় ওই শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করতো। ওই শিক্ষার্থীর পরিবার একাধিকবার নাজমুল ইসলামের পরিবারের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন কাজ হয়নি। উল্টো তারা ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
বৃহস্পতিবার ঘটনার দিন বিকালে শিক্ষার্থীর খালা বাড়িতে না থাকার সুযোগে নাজমুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীর খালার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময়, নাজমুল ওই শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষতবিক্ষত করে। এক পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে অভিযুক্ত নাজমুল ইসলাম দ্রুত পালিয়ে যায়। কিছু সময় পরে পরিবারের লোকজন ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার উদ্যোগ নিতে চাইলে অভিযুক্ত নাজমুল ও তার বাবা খবিজল মিয়া, চাচা সাইফুল ইসলামসহ পরিবারের লোকজন আপোষের প্রস্তাব দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে এবং ওই শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা নিতে ও থানায় যেতে বাধা দেয়।
অভিযুক্ত নাজমুলের পরিবার কর্তৃক নির্যাতিতার পরিবারকে আপোষের নামে চিকিৎসা ও থানায় যেতে বাধা প্রদান প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, অভিযুক্ত নাজমুলের বাবা আপোষ করার চেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন। আমরা খবর পাওয়া মাত্র ওই শিক্ষার্থীকে আইনী সহায়তার ব্যবস্থা নিয়েছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।