দেশে কওমি মাদ্রাসাসহ সব আবাসিক-অনাবাসিক মাদ্রাসা বন্ধ রাখার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও চট্টগ্রামে সে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। হাটহাজারী মাদ্রাসাসহ অধিকাংশ কওমি মাদ্রাসা খোলা রাখা হয়েছে।
হাটহাজারী মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে পরীক্ষা। হাটহাজারী মাদ্রাসাসিনিয়র শিক্ষক মাওলানা শেখ আহমদকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোতে প্রতি বছর রমজান মাসের পরপর নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়ে থাকে। ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে অফিস খোলার অনুমতির জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করার কথা জানান তারা।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আত মুখপাত্র মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারের নির্দেশ মানবে না এটা মেনে নেয়া যায় না। এরপরও তারা যদি ২০০ বছর আগের নিয়ম মেনে চলতে থাকে এটা ঠিক না। তাদেরকে অবশ্যই সরকারি ন নির্দেশ মানা উচিত। আলিয়া মাদ্রাসাগুলো সরকারের নির্দেশ মোতাবেক বন্ধ আছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এতিমখানা ছাড়া কওমিসহ সব মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার।
বিরাজমান করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুবিধার্থে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কওমি মাদ্রাসার অফিস খোলার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
কওমি মাদ্রাসাগুলোর পক্ষ থেকে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে অনুধাবন করে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিস খোলা রাখার অনুমতি দেন।
তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) থেকে পুনয়ায় কওমি মাদ্রাসা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।