অভিশংসন তদন্তের সাক্ষী মারি ইয়োভানোভিচকে আক্রমণ করে টুইট করেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের জন্য উন্মুক্ত শুনানি শুরু হয়েছে। ১৩ই নভেম্বর আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম প্রেসিডেন্টকে অপসারণে তদন্ত কার্যক্রমের উন্মুক্ত শুনানি শুরু হয়। তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষী মারি ইয়োভানোভিচকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার শুনানিতে সাবেক রাষ্ট্রদূত মারি ইয়োভানোভিচ বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কারণে তিনি ভীতসন্ত্রস্ত। ইয়োভানোভিচ শুনানিতে অংশ নেয়ার জন্য যখন কংগ্রেসে যাচ্ছিলেন,তখনই তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ করে টুইট করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প টুইট করে বলেন, সব জায়গাতেই ইয়োভানোভিচ খারাপ কাজ করেছেন। তিনি সোমালিয়া থেকে শুরু করেন, কিভাবে সেটাকে যেতে দেয়া হলো? পরে তাকে ইউক্রেন পাঠানো হলে যেখানে দ্বিতীয় দফার ফোনালাপে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট আমাকে তার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেয়ার পূর্ণ ক্ষমতা মার্কিন প্রেসিডেন্টের রয়েছে’।
ট্রাম্পের ওই টুইট সাক্ষীদের ওপর প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ইয়োভানোভিচ বলেন, এটা খুবই ভয়ংকর। প্রেসিডেন্ট যেটা করার চেষ্টা করছেন, আমি সেটা নিয়ে কথা বলতে পারি না। কিন্তু আমার মনে হয়, তিনি যেটা করছেন, সেটাকে ভয় দেখানো বলা যায়।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কথা বলার অধিকার আছে। অন্যরা যেভাবে মত প্রকাশ করে, আমারও তেমনি মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ শে জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের টেলীফোন আলাপচারিতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফাঁস হওয়া ওই আলাপচারিতার একপর্যায়ে ট্রাম ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিজের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের ইউক্রেনে অতীত ব্যবসার বিষয়ে তদন্তের জান্য জেলেনস্কিকে চাপ দেন। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত ১৪শে সেপ্টেম্বর অভশংসন তদন্ত শুরু করে প্রতিনিধি পরিষদ।