বড়দিনে সারাদেশের গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে। খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারীরা মেতেছেন আনন্দ-উৎসবে। একই সঙ্গে করোনার দুঃসময় থেকে মুক্তি পেতে প্রার্থনা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই রাজধানীর গির্জাগুলোতে করোনা মহামারি থেকে মুক্তির প্রার্থনা করা হয়েছে। খ্রিষ্টযাগসহ নানা আচার-আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যিশু খ্রিষ্টকে স্মরণ করা হচ্ছে।
সকাল থেকেই রাজধানীর তেজগাঁও পবিত্র জপমালা রাণীর গির্জায় প্রার্থনা জানাতে আসেন ভক্তরা। তবে করোনার কারণে প্রার্থনা ও আচার পালনে করমর্দন করা থেকে বিরত ছিলেন তারা। এবার স্বাস্থ্যবিধি মানতে নিরাপদ দূরত্ব রেখে বসা ও গির্জায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আগের দিন বিকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রার্থনা সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেশের সব গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। খ্রিষ্টধর্ম মতে, ২০২০ বছর আগে পবিত্র বেথেলহেম নগরে এক গোয়ালঘরে জন্মেছিলেন যিশুখ্রিষ্ট। গোশালা স্থাপন এবং রঙিন কাগজ, ফুল ও আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। আজ সকালে দেশের প্রতিটি গির্জায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ খ্রিষ্টযাগ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চট্টগ্রামের চার্চগুলোতে পালিত হচ্ছে বড়দিনের উৎসব। সকালে নগরীর পাথরঘাটা যব মালা রানী ক্যাথলিক চার্চে খ্রিষ্টযাগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা।
এদিকে, খুলনাতে করোনার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে। রাতের পর সকালে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে গির্জাগুলিতে। সকল বয়সের নারী ও পুরুষ শিশুরা এতে অংশ নেয়।
অন্যদিকে, রাজশাহীর ২১টি ধর্মপল্লীর গির্জায় গির্জায় শুরু হয় বিশেষ প্রার্থনা। সকালে বাগানপাড়া ও ডিঙ্গাডোবা চার্চসহ মহানগরীর অন্যান্য উপাসনালয়ে যিশু খ্রিস্টকে স্মরণ করে প্রার্থনা করা হয়। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার বড়দিনের আয়োজনে চাকচিক্য কম।
এছাড়া রংপুর, বান্দরবান, শেরপুর, রাজবাড়ী, নাটোর, কুড়িগ্রামসহ সারাদেশেই বড়দিন উদযাপিত হয়েছে।