জেলার সংবাদ, বিশেষ প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য

সিলেট বিভাগে করোনা চিকিৎসায় একটি হাসপাতালই ভরসা

শামীম আহমেদ

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৬ই এপ্রিল ২০২১ ১০:১৯:০৩ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সিলেট বিভাগের চার জেলার মানুষের করোনা চিকিৎসায় সরকারিভাবে শয্যা রয়েছে ২৬৭টি। ২১টি আইসিইউ'র মধ্যে ১৬টিই বিভাগীয় শহরে। মৌলভীবাজারে ৫টি আইসিইউ থাকলেও নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা। মূলত এই বিভাগের তিন জেলার মানুষের একমাত্র ভরসা সিলেটের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালটিই। গেল এক বছরেও সক্ষমতা বাড়েনি সরকারি হাসপাতালগুলোর।

সিলেট বিভাগের চার জেলায় কোটি মানুষের বাস। করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে ৫ম অবস্থানে আছে বিভাগটি। তবে সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় ভরসা শুধু একটি হাসপাতালই।

বিভাগীয় শহরের শহিদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালটিতে শুধু করোনা রোগীদেরই চিকিৎসা হচ্ছে। এ হাসপাতালে মোট শয্যা সংখ্যা ১০০। যার মধ্যে সাধারণ শয্যা ৮৪ আর আইসিইউ ১৬টি। হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা আছে ৭টি। সেন্ট্রাল অক্সিজেনের পাশাপাশি আছে ১১টি ভেন্টিলেটর। মূলত এটিই পুরো সিলেট বিভাগের মানুষের করোনা চিকিৎসায় একমাত্র ভরসা। অবশ্য কিছুদিনের মধ্যেই ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চালু হচ্ছে আইসিইউসহ ১৫০ শয্যার করোনা ইউনিট।

সিলেট ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, 'এখানে আমাদের বিকল্প বিল্ডিং আছে, সেখানে যদি আমরা করে ফেলতে পারি, তাহলে এটা হবে সব চাইতে ভালো'

আইসিইউ থাকা বিভাগের ২য় জেলা মৌলভীবাজার। জেলার সরকারি হাসপাতালে ৫টি আইসিইউ ও ৫টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা থাকলেও সেন্ট্রাল অক্সিজেনই নেই।

এদিকে, সুনামগঞ্জে করোনা চিকিৎসায় একমাত্র সম্বল ১০০টি সাধারণ শয্যা। গেল এক বছরে করোনা চিকিৎসায় আর কোন সক্ষমতা অর্জন করেনি জেলার সরকারি হাসপাতাল।

অবস্থার উন্নতি নিয়ে আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছেন দায়িত্বশীলরা। সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, 'আইসিইউ'তে অক্সিজেন সাপ্লাই লাগে ডেডিকেটেড যে বিল্ডিং আছে সেখানে এ ব্যবস্থা এখনো হয়নি। এটা কার্যকর হলেই বাকিগুলো আমাদের জন্য বরাদ্দ চলে আসবে।'

বিভাগের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হবিগঞ্জে। মাত্র ১২টি সাধারণ শয্যা ছাড়া আর কোন সুবিধাই নেই করোনা চিকিৎসায়। রোগীর অবস্থা সামান্য খারাপ হলেই পাঠিয়ে দেয়া হয় সিলেট অথবা ঢাকায়।

আরও পড়ুন