নারীদের দাস করে রাখায় পতিতাবৃত্তি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।
রবিবার সোশ্যালিস্ট পার্টির তিন দিনের সম্মেলন শেষে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ ঘোষণা দেন পেদ্রো সানচেজ ।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পারিবারিক নির্যাতনের মতো ঘটনায় তার সরকারের কঠোর আইন এবং ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির মতো ঘটনাগুলো স্পেনকে সামনের দিকে নিয়ে গেছে। এই কংগ্রেস থেকে আরও একটি অঙ্গীকারের কথা বলছি, যা আমি বাস্তবায়ন করব। আমরা পতিতাবৃত্তির অবসান ঘটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব।
স্পেনের বর্তমান আইনে দেশটিতে পতিতাবৃত্তি বৈধ। ১৯৯৫ সালে এটিকে আইনি বৈধতা দেয় কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ নারী যৌনকর্মী রয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেনে প্রতি তিন জনে একজন পুরুষ যৌনতার জন্য অর্থ ব্যয় করেন। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের অনুমান, দেশটিতে পতিতাবৃত্তির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে চারশ' কোটি ডলার লেনদেন হয়।
২০১১ সালে জাতিসংঘ জানায়, পতিতাবৃত্তির দিক থেকে স্পেনের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। থাইল্যান্ড ও পুয়ের্তো রিকোর পরই দেশটির অবস্থান।
২০১৯ সালে সানচেজের দল নির্বাচনের আগে ইশতেহারে পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। একে নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হয়েছিল।
তবে দুই বছর পার হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটে দিতেই সানচেজ এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বর্তমানে স্পেনে পতিতাবৃত্তি অনিয়ন্ত্রিত এবং যারা তাদের নিজস্ব ইচ্ছায় অর্থের বিনিময়ে যৌনসেবা দেয় তাদের জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই।