মনপুরায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট চরমে, সন্ধ্যা ৬টায় বিদ্যুৎ এসে রাত ২টায় চলে যায়।
দিনের পুরোটাই বিদ্যুৎ না থাকায় খোদ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকাণ্ডসহ ব্যাহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা। কিছু এলাকায় বেসরকারি সোলার গ্রীডের বিদ্যুৎ থাকলেও সরকারি বিদ্যুতের চেয়ে কয়েকগুন বেশি দাম পরিশোধ করতে গিয়ে নাকাল গ্রাহকরা।
চারিদিকে পানি, সবুজে ভরপুর নীরব এই জনপদটি থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ থাকায় পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ৩ শত ৭৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দ্বীপ মনপুরা।
১৯৮০ সালে মাত্র ৩৬ কিলোওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি জেনারেটর নিয়ে মনপুরায় বিদ্যুতের যাত্রা শুরু। গত ৪১ বছরে তা উন্নীত হয়েছে ২ হাজার ৩ শ কিলোওয়াটে। কিন্তু সেখান থেকে বর্তমানে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭ শ ৫০ কিলোওয়াট বা পৌনে ১ মেগাওয়াট। এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে উপজেলা সদরের হাজিরহাট, বাঁধেরহাট ও ফকিরেরহাট এলাকার ৮ শত ৫৫ জন গ্রাহকের মাঝে। তবে তারা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন সন্ধ্যার পর থেকে রাত ২টা পর্যন্ত।
২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে দ্বীপবাসীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডসহ অন্যান্য কার্যক্রম। রামনেওয়াজ, বাংলাবাজার ও মাস্টারেরহাট এলাকার ২ হাজার গ্রাহক বেসরকারি সোলার গ্রীডের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ পেলেও ইউনিট প্রতি ৩০ টাকা মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠছে।
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে সাব-মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চলছে। সেই প্রক্রিয়ায় মনপুরায় বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
মনপুরা ওজোপাডিকো'র আবাসিক প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, হাই ব্রিড সোলার গ্রিড প্ল্যান্টের মাধ্যমে সবাইকে আমরা সরকারি দামেই বিদ্যুৎ দিব। তখন আর মনপুরাবাসীর বিদ্যুতের কোন সমস্যা থাকবে না।