করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১১ হাজার ৭৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া দেশের ৪২৮টি ল্যাবে অ্যান্টিজেনসহ ২১ হাজার ৫৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮২২ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৬০ জনের করোনা শনাক্ত হলো। বৃহস্পতিবার (৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গেল ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮.৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৫ লাখ ৮২ হাজার ২৬৩টি। সে হিসেবে এ পর্যন্ত পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩.৭৮ শতাংশ। এছাড়া গেল ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ৬৯৮ জনসহ এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২ হাজার ১৬৩ জন। সে হিসেবে সুস্থতার হার ৯১.২৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ১৯ জন নারী। দেশে করোনা শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৫৩ শতাংশ।
গেল ২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে ২০ জনই ঢাকা বিভাগের এবং ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের। এছাড়া সিলেট বিভাগে ২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন, খুলনা বিভাগে ১ জন। রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে গেল ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে, বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার ৯০৯ জন। আর বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৯ জনের। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সারা বিশ্বে সুস্থ হয়েছে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৯ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনাক্তের ১০ দিন পর অর্থাৎ ১৮ই মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনায় মৃত্যুর হার শুরুতে বৃদ্ধি পাওয়ার পর অনেকটাই কমে এসেছিলো সে হার। তবে, দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ শুরুর পর চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ফের বাড়তে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।