এক ইউনিটের গড় দাম যেখানে সাড়ে ৪ থেকে ৫ টাকা, সেখানে চরের মানুষকে কিনতে হচ্ছে ৩০ টাকা করে।
বিভিন্ন নদী চরের দেড় হাজার গ্রামে এখনো জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। তবে, শ' খানেক গ্রামের একমাত্র ভরসা মিনিগ্রিডের সৌরবিদ্যুৎ। পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চর নোয়াপাড়া সবচেয়ে কাছে মুন্সিগঞ্জের দিঘির পাড় থেকেই। ট্রলার দিয়ে পৌঁছাতে লাগে আধাঘন্টা। চরের ঘনসবুজের বুক চিড়ে বসানো হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। কিন্তু, যারা সংযোগ নিয়েছেন তারা আছেন চড়া দামের গ্যাঁড়াকলে।
২৪৯.৬ কিলোওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করেছে সোলার ইলেক্ট্রো বাংলাদেশ। খরচ প্রায় ১০ কোটি টাকা। বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক ও শিল্পখাতে এক হাজারের বেশি সংযোগ দেওয়ার সামর্থ্য থাকলেও সংযোগ আছে মোটে অর্ধেক।
সরকারি হিসাব বলছে, চর বা দ্বীপের দেড় হাজার গ্রামে এখনও জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। ২৫টি মিনিগ্রিড সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সেবা যাচ্ছে মোটে ১০০ গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার গ্রাহকের কাছে। বাকিদের এর আওতায় আনা যাচ্ছেনা সরকারি নীতির কারণেই।
সরকারের শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করছে এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। কিন্তু, সংকট হলো শুধুমাত্র আর্থিক দুরাবস্থার কারণে এই চরেই বহু মানুষ বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে পারেনি। অথচ, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভর্তুকির বিপুল পরিমান ভর্তুকির প্রায় পুরোটাই যাচ্ছে সচ্ছল পরিবাবরগুলোতে।