জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বছরই ডেঙ্গুর প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
জনসচেতনতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। তবে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গ্রাম এলাকায় কাজ করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে, চলতি বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামীতে আরও সচেতন থাকার কথা জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।
নেদারল্যান্ডসের গবেষক ডি এ ব্লেইজিসের মতে, স্প্যানিশ শব্দ ডিঙ্গা বা ডেঙ্গু মানে হলো সতর্ক থাকা। প্রাচীনতম এই রোগের প্রধান প্রতিষেধকই হলো সচেতন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিন বলেন, 'সারা বছর আমাদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে নিজেদেরই দেখভাল করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে। সেটা মশারি দিয়ে হোক, কিংবা ধোঁয়া দিয়ে হোক।'
সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুর মৌসুম হলেও, চলতি বছর জুন থেকেই সারা দেশে এর ব্যাপক বিস্তার দেখা যায়। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত, ৮৬ হাজার ১৫৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্তের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে, সরকারি বিভিন্ন অভিযান ও জনসচেতনতার কারণে এখন অনেকটাই কমতে শুরু করেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
ডা. সানিয়া তাহমিন আরও বলেন, 'ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে এখন সারা বছরই ডেঙ্গু হয় এবং হবে। আগে অক্টোবর-নভেম্বরে শীত পড়তো, এখন শীত পড়েনা। সুতরাং যে তাপমাত্রা ডেঙ্গুর জন্য উপযুক্ত তা বাংলাদেশে থাকে।
এডিসের বংশ বিস্তার রোধ না করলে একে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কেবল বর্ষা মৌসুমেই এডিসের বংশ বিস্তার ঘটে, এমন ধারণা না রেখে সারা বছরই বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অদিদপ্তর। পাশাপাশি চলতি বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
ডিএনসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার মোমিনুর মামুন জানান, 'সিটি কর্পোরেশন যেমন কাজ করেছে সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। এরসঙ্গে, জনগণের যেমন স্বতস্ফুর্ততা ছিলো সেটাও থাকতে হবে। পেস্টিসাইড, লার্ভিসাইড সব কার্যক্রম আমরা জোরালোভাবে অব্যাহত রাখবো।'
এছাড়া, কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ, কিউলেক্স ও এডিস মশা নিধনে ওষুধের কার্যকারিতা পর্যালোচনা ও বছরব্যাপী কার্যক্রম চালানোর কথা জানিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।