সম্রাটের জীবনের কোনো ঝুঁকি নেই এবং তাকে বিদেশে নেয়ারও প্রয়োজন নেই।
যুবলীগ নেতা সম্রাটের অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সকাল থেকে তার হৃদস্পন্দন কিছুটা অনিয়মিত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বুধবার দুপুরে, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে চিকিৎসক মহসিন আহমেদ জানান, সম্রাটের চিকিৎসা দেশে, হৃদরোগ ইন্সটিটিউটেই সম্ভব। এ মুহুর্তে তাকে বিদেশ নেবার কোনো প্রয়োজন নেই। তার হৃদস্পন্দন অনিয়মিত থাকায় তার ওষুধের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্রাটের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। গতকাল যতগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে তার সবগুলো রিপোর্ট ভালো এসেছে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা মিলিয়ে বর্তমানে তিনি ভালো আছেন। তাকে আরও ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
এছাড়া হাসপাতালের নিরাপত্তা আগের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সম্রাটেরকর্মী ও কাছের কোনো ব্যক্তিকেই সিসিইউতে যেতে দেয়া হচ্ছে না।
এদিকে, বহিষ্কৃত যুবলীগের নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সহযোগী আরমানের বিরুদ্ধে রমনা থানার মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।একইসঙ্গে সম্রাট অসুস্থ থাকায় এবং আদালতে হাজির হতে না পারায়, তার বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বিচারক।
বুধবার সকালে, ঢাকার মহানগর হাকিম শরাফুজ্জামান আনসারি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে, কারাগার থেকে আদালতে তোলা হয় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা আরমানকে।পরে সুস্থতা সাপেক্ষে অস্ত্র ও মাদক মামালায় সম্রাটের বিরুদ্ধে রিমান্ড শুনানি আদেশ দিয়েছে আদালত। তবে অসুস্থ থাকায় রাজধানীর রমনা থানার মাদক ও অস্ত্র মামলায় সম্রাট বিরুদ্ধে রিমান্ড শুনানি স্থগিত করা হয়। গত ৭ই অক্টোবর প্রত্যেক মামলায় উভয়ের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে র্যাব।