মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহনের বাসটি চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ১৪ জন যাত্রী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদারীপুরে তিনজন এবং ঢাকা মেডিকেলে মারা যায় আরও দুই জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ২৫ জন।
রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে শিবচর ফায়ার সার্ভিসের লিডার হারুণ অর রশিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইমাদ পরিবহন বাসের সামনের বামপাশের চাকা ব্লাস্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ১৪ জন যাত্রী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদারীপুরে তিনজন এবং ঢাকা মেডিক্যালে মারা যায় আরও দুই জন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরের এক্সপ্রেসওয়ের বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে সকালে হালকা বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল ছিল। গাড়ি দ্রুত চালানোয় হয়তো চাকা ব্লাস্ট হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: 'এটি এক্সপ্রেসওয়েতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা'
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, নিহতদের মরদেহ দাফনের জন্য তাদের স্বজনদের কাছে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করা হচ্ছে।
এর আগে সকাল সোয়া ৮টায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। এতে ১৯ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
ডিবিসি/ এমএলএন