মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এক্সপ্রেসওয়েতে মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জনের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় মিলেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ২৫ জন।
রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে শিবচর ফায়ার সার্ভিসের লিডার হারুণ অর রশিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস
তিনি জানান, ইমাদ পরিবহন বাসের সামনের বামপাশের চাকা ব্লাস্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ১৪ জন যাত্রী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাদারীপুরে তিনজন এবং ঢাকা মেডিকেলে মারা যায় আরও দুই জন।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরের এক্সপ্রেসওয়ের বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯
নিহতদের মধ্যে ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পরিবার-পরিকল্পনার ডিডি অনাদি রঞ্জন মজুমদার, আবু হেনা মোস্তফা কামালের মেয়ে আফসানা মিমি, গোপীনাথপুরের তৈয়ব আলী মিয়ার ছেলে হেমায়েত মিয়া (৩৮), টুঙ্গিপাড়ার কানচন শেখের ছেলে কবির হোসেন (৫৩), গোপালগঞ্জ সদরের এমরান আলীর ছেলে সজীব, পাচুরিয়া গ্রামের মো. মাসুদের মেয়ে সুইটি আক্তার (১২), বনগ্রামের সামসুল শেখের ছেলে মোস্তাক আহমেদ, মুকসুদপুর উপজেলার আমজেদ শেখের ছেলে মাসুদ (৩২), খুলনার সোনাডাঙার শেখ আহম্মেদ আলীর ছেলে শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, খুলনার চিন্ময় প্রসুন্ন ঘোষ (৩৭), ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে সৈয়দ ইসমাইল (৩৮) ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার।
আরও পড়ুন: 'এটি এক্সপ্রেসওয়েতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা'
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে সকালে হালকা বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল ছিল। গাড়ি দ্রুত চালানোয় হয়তো চাকা ব্লাস্ট হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, নিহতদের মরদেহ দাফনের জন্য তাদের স্বজনদের কাছে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে বাস খাদে পড়ে নিহত ১৫
উল্লেখ্য, সকাল সোয়া ৮টায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। এতে ১৯ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
ডিবিসি/ এমএলএন